শরীর থেকে বিষাক্ত বা অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করার প্রক্রিয়াকে ডিটক্সিফিকেশন বলা হয়। আমাদের শরীর লিভার, কিডনি, ফুসফুস, ত্বক এবং অন্ত্রদ্বয়ের সাহায্যে বিপাকীয় আবর্জনা এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করার জন্য অবিরাম। কাজ করে চলেছে। এই কাজে সংবহনতন্ত্র এবং লসিকানালি অর্থাৎ লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম শরীরকে সাহায্য করে।
তবে বছরের পর বছর যাবৎ জীবনযাপনের পরিস্থিতি এবং অভ্যাসে পরিবর্তনের কারণে আমাদের শরীরে বাইরে থেকে যে বিষাক্ত পদার্থ ঢােকে তা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। জাঙ্ক ফুড, ওষুধ, খাবারে স্বাদবর্ধক অর্থাৎ অ্যাডিটিভ খাওয়া, কীটাণুনাশক, প্রসাধনী ব্যবহার এবং পরিবেশের এবং রাসায়নিক দষণের ফলে শরীরের ডিটক্স ব্যবস্থার কাজের চাপ বাড়ে এবং শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে থাকে।
শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়ার কয়েকটা লক্ষণ হল বিপাকীয় ব্যবস্থা মন্থর হয়ে যাওয়া, দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাপা, বিরক্তিভাব, ক্লান্তি, শ্বাসপ্রশ্বাসে দুর্গন্ধ, গায়ে ব্যথা, অনিদ্রা, অসম ত্বক এবং অকালবার্ধক্য।
প্রতিদিনকার ৭টা ডিটক্স টিপস
- সকালে খালি পেটে লেবুর জল খাবেন ।
- জলে ফল মিশিয়ে সেই জলটা সারাদিন ধরে খাবেন।
- সারা দিন ভেষজ চা খাবে।
- তন্তু অর্থাৎ ফাইবারসমৃদ্ধ গােটা শস্য, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর
চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন । - পরিশ্রম করে ঘাম দিয়ে এইসব বিষাক্ত পদার্থ বার করে দেবেন।
- বাইরে তাজা হাওয়ায় সময় কাটাবেন।
- শােওয়ার আগে এপসম সল্ট দিয়ে ডিটক্স বাথ নেবেন।